Your Cart

Your cart is empty

Go find your favorite products and add them to the cart.

Continue Shopping

Sub Total

Tk


Proceed to Checkout

ডায়াবেটিসে নিয়মিত ব্যায়ামের গুরুত্ব ও সহজ ওয়ার্কআউট প্ল্যান

ডায়াবেটিসে নিয়মিত ব্যায়ামের গুরুত্ব ও সহজ ওয়ার্কআউট প্ল্যান

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শুধুমাত্র ওষুধ বা খাদ্য নিয়ন্ত্রণই যথেষ্ট নয় — বরং নিয়মিত ব্যায়াম বা ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটিই হতে পারে সুস্থ ও সক্রিয় থাকার সবচেয়ে সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়।
আজকের এই ব্লগে আমরা জানব, কেন ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এত জরুরি এবং সহজ কিছু ওয়ার্কআউট প্ল্যান, যা যে কেউ নিজের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

 

১) কেন ডায়াবেটিসে ব্যায়াম এত গুরুত্বপূর্ণ?

 

ডায়াবেটিস মূলত শরীরে ইনসুলিনের কাজ কমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। আর নিয়মিত ব্যায়াম:

 

১.১) রক্তে গ্লুকোজ কমাতে সাহায্য করে

 

১.২) ইনসুলিন সেনসিটিভিটি (ইনসুলিন কাজ করার ক্ষমতা) বাড়ায়

 

১.৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

 

১.৪) হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়

 

১.৫) মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়

 

ব্যায়াম মানে শুধু জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরানো নয়। প্রতিদিন কিছু সহজ শারীরিক কার্যকলাপও অনেক উপকারে আসে।

 

২) ব্যায়ামের ধরণ: কোনগুলো ভালো?

 

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সাধারণত তিন ধরনের ব্যায়াম উপকারী:

 

২.১) অ্যারোবিক বা কার্ডিও ব্যায়াম

 

যেমন: brisk walking, সাইকেল চালানো, জগিং, সাঁতার

 

এগুলো হার্ট ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে এবং রক্তে গ্লুকোজ কমায়।

 

২.২) স্ট্রেংথ ট্রেনিং

 

যেমন: হালকা ওজন তুলা, রেসিস্ট্যান্স ব্যান্ড, স্কোয়াট, পুশ-আপ

 

পেশি গড়ে তোলে, যা ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়।

 

২.৩) ফ্লেক্সিবিলিটি ও ব্যালান্স ব্যায়াম

 

যেমন: স্ট্রেচিং, যোগা, টাই চি

 

শরীর নমনীয় করে, আঘাতের ঝুঁকি কমায় এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়।

 

সহজ ওয়ার্কআউট প্ল্যান (সপ্তাহে ৫ দিন)

 

দিন ব্যায়াম সময়/সংখ্যা
সোমবার brisk walking ৩০ মিনিট
মঙ্গলবার স্কোয়াট + লাইট ওয়েট ট্রেনিং ২০ মিনিট
বুধবার যোগা বা স্ট্রেচিং ৩০ মিনিট
বৃহস্পতিবার সাইকেল চালানো বা সাঁতার ৩০ মিনিট
শুক্রবার ব্রিস্ক ওয়াক + পুশ আপ ৩০ মিনিট

 

শনিবার ও রবিবার: হালকা হাঁটা বা বিশ্রাম, তবে একেবারে বসে না থেকে নরমাল movement বজায় রাখুন।

 

৩) শুরু করার আগে কিছু সতর্কতা

 

৩.১) চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, বিশেষ করে যদি টাইপ ১ ডায়াবেটিস বা জটিলতা থাকে

 

৩.২) ব্যায়ামের আগে ও পরে রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করুন

 

৩.৩) সাথে পানীয় পানি ও স্ন্যাকস রাখুন — যাতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি কমে যাওয়া) হলে ব্যবস্থা নিতে পারেন

 

৩.৪) নতুন এক্সারসাইজ শুরু করলে আস্তে আস্তে সময় ও intensity বাড়ান

 

৪) ব্যায়াম ছাড়াও আরও যা করতে পারেন

 

৪.১) প্রতিদিন অন্তত ৬,০০০–১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটার চেষ্টা করুন

 

৪.২) লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন

 

৪.৩) টিভি দেখার ফাঁকে ফাঁকে দাঁড়ান বা হাঁটুন

 

৪.৪) দীর্ঘ সময় বসে না থেকে প্রতি ৩০ মিনিট পর একটু নড়াচড়া করুন

 

৫) উপসংহার

 

ডায়াবেটিসকে ভয় নয় — বরং সঠিক খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চললে ডায়াবেটিসও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। নিজের জন্য একটু সময় বের করুন, হাঁটুন, নড়ুন — এই ছোট অভ্যাসগুলোই এনে দিতে পারে বড় পরিবর্তন।

 

স্মার্ট লাইফ, সুস্থ জীবন!